ঢাকা,বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

রাখাইনে ১৭৬ গ্রাম জনশূন্য

rohiggaঅনলাইন ডেস্ক ::

রাখাইনে ১৭৬টি গ্রাম জনশূন্য। আরো কমপক্ষে ৩৪টি গ্রাম আংশিক পরিত্যক্ত রয়েছে। এ কথা বলেছেন, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের অফিসের মুখপাত্র জাও হতাই। ব্যাংকক থেকে দেয়া রিপোর্টে এ কথা বলেছে বার্তা সংস্থা এপি। এতে বলা হয়, তিনটি শহর এলাকায় জাতিগত রোহিঙ্গাদের ৪৭১টি গ্রাম আছে। জাও হতাই বলেছেন, ৫ই সেপ্টেম্বর কমপক্ষে ৮৬টি সংঘর্ষ হয়েছে। তারপর থেকে আর কোনো সংঘর্ষ হয় নি। তিনি বলেন, এর অর্থ তাহলে কি দাঁড়ালো। অর্থ দাঁড়ালো এই যে, যখনই নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী ওই অঞ্চল (রাখাইন) স্থিতিশীল করার চেষ্টা করে তখনই তারা একপর্যায়ে এসে সফল হয়। উল্লেখ্য, ২৫শে আগস্ট পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পোস্টে আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির হামলার পর সেবাবাহিনী ‘জাতি নির্মূলের’ অভিযানে নামে। তারা বিদ্রোহীদের নির্মূল করার নামে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে লোমহর্ষক সব অপরাধ সংঘটিত করতে থাকে। এতে বাধ্য হয়ে কোনোমতে প্রাণ নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে   বাংলাদেশে ছুটে আসছে রোহিঙ্গার স্রোত। জাতিসংঘের হিসাবে তাদের সংখ্যা প্রায় চার লাখ। তারপরও প্রতিদিন রোহিঙ্গারা আসছেই। এই সহিংসতার জন্য মিয়ানমার সরকার দায়ী করে রোহিঙ্গাদের। কিন্তু আক্রান্ত এলাকার কিছু জায়গা দেখানো হয়েছে সাংবাদিকদের। অনুসন্ধানের পর রোহিঙ্গারা নিজেরা তাদের নিজেদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে সরকারের এমন দাবির বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকরা। বিবিসির জনাথন হেড তো সচিত্র প্রতিবেদনই প্রকাশ করেন এ নিয়ে। বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গারা বলছেন, রাখাইনে সেনাবাহিনী বাছবিচারহীনভাবে গুলি করে মানুষ মারছে। পুড়িয়ে দিচ্ছে বাড়িঘর। তাদেরকে বাড়ি ছেড়ে, দেশ ছেড়ে যেতে বলা হচ্ছে। হুমকি দেয়া হচ্ছে, তা না করলে হত্যা করা হবে। তাদের অভিযোগ, এই সহিংসতায় বৌদ্ধরাও জড়িত। ওদিকে রাখাইনে বিভিন্ন প্রকল্পে ভারত বিপুল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই অর্থে কোথায় কোথায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে তা স্পষ্ট নয়। স্পষ্ট নয়, রোহিঙ্গাদের ছেড়ে যাওয়া গ্রামগুলোতেই ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে কিনা। যদি তা-ই হয় তাহলে তা এক ভয়াবহ পরিণতির ইঙ্গিত করে।

পাঠকের মতামত: